কম্পিউটারে বে আইনি প্রবেশ ও ক্ষতি সাধনের শাস্তি, না জানলে জানুন আজই

কম্পিউটারে বে আইনি প্রবেশ ও ক্ষতি সাধনের শাস্তিঃ আপনার ব্যাক্তিগত কম্পিউটারে বা ডিজিটাল ডিভাইসে আপনার অনুমতি ছাড়া কেউ বে আইনি ভাবে প্রবেশ করে বা ব্যবহার করে এবং কোনো প্রকার ক্ষতি সাধন করে বা চেষ্টা করে। তাহলে আপনার করণীয় কি। বা আপনি কি করতে পারেন। বা আপনি আইনি কোনো পদক্ষেপ নিতে পারবেন কি না?  হ্যাঁ আপনি আবশ্যক আইনি পদক্ষেপ নিতে পারবেন। তবে এরূপ ঘটনা ঘটলে নিকটস্থ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করার পরামর্শ দিতে পারি। তবে নিম্নোক্ত আইনে বর্ণনা জেনে রাখুন এবং একজন অভিজ্ঞ আইনজীবীর পরামর্শ নিন এবং আইনি পদক্ষেপ নিন।

আজ আমরা জানবো যে, কম্পিউটার বা ডিজিটাল ডিভাইসে বে আইনি প্রবেশ এবং ক্ষতি সাধনের শাস্তি সম্পর্কে আইন। 

কম্পিউটার বা ডিজিটাল ডিভাইস  ইত্যাদি তে বে-আইনি প্রবেশের শাস্তি 

  • যদি কোনো ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত ভাবে কোনো কম্পিউটার বা ডিজিটাল ডিভাইস অথবা কম্পিউটার নেটওয়ার্কের সিস্টেমে বে-আইনি ভাবে প্রবেশ করে বা প্রবেশ করতে সহায়তা করে। সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০২৩ এর ১৮ (১) ধারা দফা (ক) মতে আপরাধ করেছে।
  • ঠিক একই ভাবে কোনো কম্পিউটার বা ডিজিটাল ডিভাইস অথবা কম্পিউটার নেটওয়ার্কের সিস্টেমে অপরাধ সংঘটন করার উদ্দেশ্যে বে-আইনি ভাবে প্রবেশ করে বা প্রবেশ করতে সহায়তা করে তাহলে সেই ব্যাক্তি সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০২৩ এর ১৮ ধারা দফা (খ) মতে অপরাধ করেছে।
  • যদি কোনো ব্যাক্তি উপ-ধারা (১) এর দফা (ক) এর অধীনে কোনো অপরাধ সংঘটন করে তাহলে সেই ব্যাক্তির অনধিক ছয় মাস কারাদণ্ড বা অনধিক দুই লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দন্ডে দণ্ডিত হইবে।

ঠিক একই ভাবে দফা (খ) এর অধীনে কোনো অপরাধ সংঘটন করে তাহলে সেই ব্যাক্তির অনধিক তিন বছর কারাদণ্ড বা অনধিক দশ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হইবে।

এটি পড়ুনঃ   কেউ মিথ্যা জিডি করলে! মিথ্যা জিডি হলে করণীয় কী?

পড়ুনঃ পুলিশ গ্রেফতারি ওয়ারেন্ট ছাড়া গ্রেফতার করতে পারবেন

কম্পিউটার বা কম্পিউটার সিস্টেম ইত্যাদির ক্ষতিসাধন করার শাস্তি 

যদি কোনো ব্যাক্তি কোনো কম্পিউটার বা কম্পিউটার সিস্টেম অথবা কম্পিউটার নেটওয়ার্ক থেকে কোনো তথ্য উপাত্ত বা উপাত্ত ভাঙারের অংশ সংগ্রহ করে বা স্থানান্তর বা কপি করে অথবা জমাকৃত তথ্য-উপাত্ত সহ সংগ্রহ করে বা কোনো তথ্য উপাত্ত অনুলিপি বা অংশ বিশেষ সংগ্রহ বা কপি করে। অথবা ক্ষতি সাধনের উদ্দেশ্যে কোনো ধরনের সংক্রামক বা ম্যালওয়্যার অথবা ক্ষতিকর সফটওয়্যার প্রবেশ করায় অথবা প্রবেশ করার চেষ্টা করে।

অথবা ইচ্ছাকৃত ভাবে প্রেরক বা গ্রাহকের অনুমতি ছাড়া কোনো পণ্য বা সেবা করার উদ্দেশ্যে স্পাম তৈরি করে বা বাজারজাত করে অথবা করার চেষ্টা করে বা এই বিষয়ে মেইল প্রেরণ করে বা কম্পিউটার নেটওয়ার্কে অন্যায় ভাবে প্রবেশ করে তথ্য পরিবর্তন করে কোনো ব্যাক্তির সেবা গ্রহণ বা ধার্যকৃত চার্জ অন্যের হিসাবে জমা করে বা করার চেষ্টা করে তাহলে সেই ব্যাক্তি এই রূপ অপরাধ করেছে। 

অনুরূপ করায় সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০২৩ এর ধারা ১৯ উপ-ধারা (১) এর অধীনে অপরাধ সংঘটন করায় সেই ব্যাক্তির অনধিক সাত বছর কারাদণ্ড বা অনধিক দশ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হইবে। (সংক্ষিপ্ত বিবরণী

পড়ুনঃ ইভটিজিং করার শাস্তি | ইভটিজিং এর শিকার হলে করণীয়

WhatsApp Group Join Now
Avatar of Joe Smith
Joe Smith

Hi, I am Joe Smith. I love to share my thoughts on my website, loves to write on various topics according to the trends.

Leave a Comment

Home
Join
Facebook
Search
হারানো Gp সিম বন্ধ করার উপায়, সহজ পদ্ধতি জেনে নিন মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়া এবং দিলে করণীয় কী? জানুন স্টোরি থেকে