ভূমি নিবন্ধনের নতুন মৌজা রেট (জমির নতুন মৌজা রেট তালিকা ২০২৪) সম্পর্কে জানতে আগ্রহী সকল প্রিয় পাঠককে স্বাগতম। আজকে আমরা উক্ত পোস্টের মাধ্যমে আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করব এবং দেখব যে বর্তমানে আমাদের বাংলাদেশ সরকার জমি রেজিস্ট্রেশনে নতুন মৌজা রেট কি নির্ধারণ করেছে। নিবন্ধন অধিদপ্তর কর্তৃক জারি করা প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ভূমি নিবন্ধনের জন্য নতুন মৌজার রেট দেশব্যাপী কার্যকর হয়েছে। তিন পার্বত্য জেলা ছাড়া ৬১টি জেলায় নতুন এই মৌজা রেট কার্যকর করা হয়েছে।
এই সংশোধিত মৌজার রেট নির্ধারণ করা হয়েছে সরকার অনুযায়ী মৌজার আওতাধীন জমির সর্বনিম্ন গড় বাজার মূল্যের ভিত্তিতে। মোটকথা এর অর্থ এই নির্ধারিত মূল্যের নিচে জমির রেজিস্ট্রেশন একেবারেই করা যাবে না। বর্তমান সরকার সময়ে সময়ে সংশোধিত নতুন মৌজার হার অনুযায়ী প্রতিটি জমির শ্রেণীভিত্তিক মূল্য সর্বনিম্ন ১০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।
নিচের যে অংশ থেকে পড়তে চান, ক্লিক করুন:
জমির নতুন মৌজা রেট তালিকা ২০২৪
এক্ষেত্রে আপনার জানা উচিত, যেখানে ব্রিটিশ জমির দাম বাড়ির চেয়ে বেশি। আর যেসব মৌজায় পূর্বের জমির মূল্য অপরিবর্তিত রয়েছে, সেসব মৌজায় কিছু কিছু মৌজার অধিকাংশ জমি ইতিমধ্যেই সরকার অধিগ্রহণ করেছে। তো বন্ধুরা আর দেরি না করে চলুন মৌজা গলিতে জমির সংশোধিত মূল্য তালিকার সাথে পরিচিত হই।
মৌজায় গৃহ শ্রেণীর জমির শেয়ার প্রতি মূল্য তালিকা
মৌজায় ভিটি শ্রেণির জমির শেয়ার প্রতি মূল্য তালিকা
সম্পত্তির সর্বনিম্ন বাজার মূল্য নির্ধারণ: ২০২৩-২০২৪
সম্পত্তির সর্বনিম্ন বাজার মূল্য নির্ধারণের নতুন বিধিমালা ২০২৩ সালের ১লা জানুয়ারি থেকে কার্যকর হয়েছে এবং পরবর্তী দুই বছর (২০২৪ সালের শেষ পর্যন্ত) বহাল থাকবে। এরপর নতুন করে বিধিমালা প্রণয়ন করা হবে।
নিবন্ধক অধিদপ্তরের বিদায়ী মহাপরিদর্শক শহিদুল আলম ঝিনুক স্বাক্ষরিত এই আদেশ ইতিমধ্যে কার্যকর করা হয়েছে। নির্ধারিত বাজার মূল্য সম্পর্কে কোন আপত্তি থাকলে সংশ্লিষ্ট জেলার বাজার মূল্য নির্ধারণ কমিটির সদস্য সচিবের মাধ্যমে অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক বরাবর পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করা যাবে।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:
- এই বিধিমালা অনুযায়ী, দেশের সকল জেলার জন্য সম্পত্তির সর্বনিম্ন বাজার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
- নির্ধারিত বাজার মূল্যের কম মূল্যে সম্পত্তির দলিল নিবন্ধন করা যাবে না।
- বাজার মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে, জমির অবস্থান, রাস্তাঘাট, বাজার, বিদ্যুৎ, পানি, স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল ইত্যাদির সুযোগ-সুবিধা বিবেচনা করা হয়েছে।
- আপত্তি নিষ্পত্তির জন্য, প্রতিটি জেলায় একটি বাজার মূল্য আপত্তি নিষ্পত্তি কমিটি গঠন করা হয়েছে।