সারা বাংলাদেশের যে কোনো সালের যে কোনো দলিল খুজে বের করার বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো (পুরাতন দলিল তল্লাশি)। এর আগে আমাদের জানা দরকার যে,এই পুরাতন দলিল কাদের কাদের প্রয়োজন? অনেকেই আছেন, যে, তারা এই পুরাতন দলিল খুজে পাচ্ছে না। যার জন্য অনেক কাজ কর্ম সমাধান করতে পারছে না। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় যে, যারা এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় চলে গেছে। তাদের সম্পত্তি গুলো তাদের দখলে নেই। বা তাদের কাছে কোনো প্রমাণ বা দলিল নেই। অথবা এই জমি গুলো খুজে বের করতে পারছেন না। তাদের জন্য এই ছোট বিজ্ঞাপন টি গুরুত্বপূর্ণ।
জমি জমার বিষয় টি এমন ও হতে পারে। যাদের মামার বাড়ির বা নানার বাড়ির সম্পত্তির ওয়ারিশ হিসেবে প্রাপ্ত জমি বুঝাইয়া না দিলে বা কোনো কাগজপত্র না দিলে আপনি কখনো জমি বের করতে পারবেন না। আর বিক্রি ও করতে পারবেন না। আর যদি আপনি জমির দলিল খুজে বের করতে পারেন, তাহলে আপনি ওয়ারিশান সার্টিফিকেট দিয়ে ও জমি বিক্রি করতে পারবেন।
তবে বন্টননামা যে ১০০% কার্যকর হইছে তা কিন্তু নয়। বন্টননামা ছাড়াও আপনার দলিল থাকলেই ওয়ারিশান সার্টিফিকেট দিয়ে ও জমি বিক্রি করতে পারবেন। মেইন দলিলের যে ক্ষমতা, ঠিক অবিকল নকল বা সার্টিফাইড কপি দলিলে ও ঠিক একই ক্ষমতা। আপনার আসল দলিল যদি না থাকে তাহলে অবিকল নকল বা সার্টিফাইড কপি দলিল তুলে কাজ করতে পারবেন।
যদি কোনো কারনে যদি মনে হয় যে,আপনার ওয়ারিশানদের কোনো জায়গায় কোনো সম্পত্তি আছে। কিন্তু দলিলে অভাবে আপনি দখল করতে বা মামলা মোকদ্দমা করতে পারছেন না। বা মামলা মোকদ্দমায় না দিয়ে ও সমস্যা সমাধান করতে পারেন। সেটা শালিশী বৈঠকে বা ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমেই হোক। অথবা কম দামে অন্য কারো কাছে বিক্রি করে। তবে সর্বপ্রথম দলিল খুজে বের করতে হবে।
পুরাতন দলিল কিভাবে খুঁজে বের করবেন
প্রথম যে বিষয়টি হলো, আপনার সামান্য কোনো প্রমাণ আছে। এটার একটি পদ্ধতি। আর কোনো প্রমাণ ই যদি না থাকে। সেটার আর একটি পদ্ধতি।
আপনার কাছে সামান্য প্রমান আছে, আর সেটা হলো, আপনি দাতা বা গ্রহীতার নাম জানেন। মানে কে কাকে জমি দিয়েছে। আপনার বাবাকে আপনার দাদা হেবা দলিল করে দিয়েছিলো বা আপনার মা কে আপনার নানা হেবা দলিল করে দিয়ে ছিলো। দাতা, গ্রহীতার নাম জানেন এবং আনুমানিক সাল জানেন। সেই অনুযায়ী আপনার পরিশ্রম টা কমে আসবে। তখন আপনি সাব রেজিস্ট্রি অফিসে যাবেন। সাব রেজিস্ট্রি অফিসে পাওয়া না গেলে জেলা রেজিস্ট্রি অফিসে যাবেন। এবং যারা দলিল তল্লাশি কারক যারা আছেন। তাদের কাছে যাবেন এবং বলবেন যে,দাতার নাম,গ্রহীতার নাম এবং আনুমানিক সাল, এবং মৌজার নাম বললে খজে দেখিবেন। তাছাড়া ও আপনার যদি দলিল নাম্বার থাকে তাহলে খুব সহজেই পেয়ে যাবেন।
আর সবচেয়ে কঠিন পদ্ধতি যেটা, যে আমি কিছুই জানি না। তাহলে আমি কি করে বের করি। তাহলে আপনি মৌজা টা অবশ্যই চিনেন বা কোনো মৌজায় জমি আছে। অথবা কোনো ভাবে জানেন যে কোথায় জমি পাবেন। কোথায় কোথায় জমি পাবেন তা না জানলেও আপনার পূর্বের দাতার জমি গুলো কোথায় কোথায় আছে যেটা অবশ্যই জানেন। বা জমি না চিনলে ঐ এলাকার স্থানীয় দের নিকট থেকে জেনে নিবেন। এবং ঐ জমিতে যাবেন। এবং পাশের জমির মালিক কে বলবেন যে, এই জমির দাগ নাম্বার কত অথবা ঐ এলাকার একজন স্থানীয় সার্ভেয়ার বা আমিন কে নিয়ে যাবে। এবং বলবেন যে এই জমির দাগ নাম্বার কত। আর এই দাগ নাম্বার টি নিয়ে আপনি আপনার ইউনিয়ন তৌসিল অফিসে যাবেন বা শহর হলে পৌর ভূমি অফিস বা সার্কেল অফিস থাকেন সেখানে যাবেন। নিকটস্থ যেখানে সেখানে যাবেন।
এবং জানার জন্য বলবেন যে, এই দাগ নাম্বারে জমি আমার বাবার নামে বা মায়ের নামে হেবা দলিল হয়েছিলো কি না। বা আমার বাবার নামে খারিজ আছে কি না বা আমার মায়ের নামে খারিজ আছে কি না। অথবা এই জমি টা কার কাছে আসলো কিভাবে আসলো বা কে কিভাবে মালিক হলো এটার ও একটা প্রমান থাকে ভূমি অফিসে। রেজিস্ট্রি অফিসে খারিজ হলে দলিল নাম্বার লেখা থাকে। হেবা দলিল হলে ও খারিজে দলিল নাম্বার লিখা হয়ে থাকে। এছাড়াও আরও বিভিন্ন ভাবে দলিল নাম্বার সহ জমির প্রমাণ ভূমি তৌসিল অফিসে সংরক্ষিত থাকে।
একটি দলিল খুজে বের করতে অনেকটা সময় লেগে যাবে। এরপর ও চেষ্টা করে দলিল নাম্বার টা বের করবেন। যদি দলিল নাম্বার পেয়ে যান,তাহলে তো খুব সহজেই পেয়ে যাবেন। দলিল নাম্বার না পাইলে,জমির দাগ নাম্বার এবং মৌজা এবং আনুমানিক সাল অনুযায়ী সাব রেজিস্ট্রি অফিসে তল্লাশি করে দেখতে পারেন। তবে তল্লাশি করতে আপনাকে খরচ করতে হবে। যত বেশি সাল অনুযায়ী দেখবেন তত বেশি খরচ হবে। আপনার আনুমানিক সাল অনুযায়ী তল্লাশি দিবেন তাহলে পেয়ে যাবেন, যদি রেকর্ড থাকে। এরপর যদি দেখা যায় যে, দলিল নেই বা দলিলে নেই। আপনি রেকর্ড মূলে মালিক।
তাহলে আপনাকে রেকর্ড তুলতে হবে। আপনার বাবা বা দাদার পূর্ব পুরুষের জমি যদি বেচা কেনা না হয়। ওয়ারিশ মূলে মালিক হয়ে থাকে তাহলে দলিল থাকবে না। তাহলে রেকর্ড মুলে মালিক হবেন। তখন সিএস খতিয়ান, আরএস খতিয়ান, এসএ খতিয়ান থাকবে। তখন দাগ নাম্বার দিয়েই রেকর্ড রের করতে পারবেন। খতিয়ান রের করাও খুব সহজ, আপনি চাইলে অনলাইন থেকে আবেদন করে সার্টিফাইড কপি নিতে পারেন। (সংক্ষিপ্ত বিবরণী) অন্যান্য লেখা পড়তে আজকের ডায়েরির হোমপেইজ ভিজিট করুন।
দলীলের নাম্বার কোথায় পাবো