যৌতুকের মিথ্যা মামলার বিরুদ্ধে মামলাঃ যদি কোনো ব্যাক্তির বিরুদ্ধে যৌতুক নিরোধ আইনের মামলা হয়। তাহলে সেই ব্যাক্তি আসলে প্রকৃত অভিযুক্ত ব্যাক্তি নয়। কেবল মাত্র তাকে অভিযুক্ত বলে দাবি করা হয়েছে। অপরাধ প্রমাণিত হবার পর সেই ব্যাক্তি কে অভিযুক্ত ব্যাক্তি বলা হয়।
নিচের যে অংশ থেকে পড়তে চান, ক্লিক করুন:
যৌতুকের মিথ্যা মামলার বিরুদ্ধে মামলা
তবে মনে রাখবেন, কারোর বিরুদ্ধে যৌতুক নিরোধ আইনের মামলা হলে, চলমান মামলা নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। যদি আসামি পক্ষ মামলা হতে খালাস পেয়ে থাকে। তালে অত্র মামলার বাদীর বিরুদ্ধে মিথ্যা যৌতুকের মামলা করার অপরাধে মামলা করতে পারবেন। তবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যে,একজন অভিজ্ঞ আইনজীবীর পরামর্শ নিয়ে আইনিপদক্ষেপ নিবেন।
যৌতুক নিরোধ আইন ২০১৮ সালের ৩ ধারার শাস্তি
বিবাহের যে কোনো একটি পক্ষ অন্য কোনো পক্ষের নিকট প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে যৌতুক দাবি করে। তাহলে সেই ব্যাক্তির অনধিক পাঁচ বছর কিন্তু নূন্যতম এক বছর কারাদণ্ড বা অনধিক পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবে।
মিথ্যা যৌতুকের মামলার বিরুদ্ধে মামলা
যদি কোনো ব্যাক্তির বিরুদ্ধে যৌতুক নিরোধ আইনের মিথ্যা মামলা হয়। তাহলে সেই ব্যাক্তি মামলার বাদীর বিরুদ্ধে মামলা করতে পারবেন। যে কারোর বিরুদ্ধে যৌতুক নিরোধ আইনের মামলা হলে সেই ব্যাক্তি অপরাধী নয় বা অভিযুক্ত নয়। কেবলমাত্র অপরাধ প্রমাণিত হবার পর সেই ব্যাক্তি কে অভিযুক্ত ব্যাক্তি বলা হয়।
যদি কোনো ব্যাক্তির বিরুদ্ধে যৌতুক নিরোধ আইনের মামলা হয়। এবং তার কোনো অপরাধ প্রমাণিত না হয় এবং আদালত তাকে খালাস প্রদান করেন। তাহলে আসামি পক্ষ মামলার বাদীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করতে পারবেন।
মিথ্যা যৌতুকের বিরুদ্ধে কত ধারায় মামলা করবেন
যদি কোনো ব্যাক্তির বিরুদ্ধে যৌতুক নিরোধ আইনের মামলা করার যথাযথ আইনগত কোনো কারণ নেই, তা জানা স্বত্বেও কারোর বিরুদ্ধে যৌতুক নিরোধ আইনের মামলা করেন এবং আদালত সেই মামলায় যথাযথ সত্যতা বা প্রমাণ না পাওয়ায় আসামি কে আদালত খালাস প্রদান করেন। তাহলে সেই ব্যাক্তি/আসামি পক্ষ মামলার বাদীর বিরুদ্ধে যৌতুক নিরোধ আইন ২০১৮ সালের ৬ ধারা মতে আদালতে মামলা করতে পারবেন
যৌতুক নিরোধ আইন ২০১৮ সালের ৬ ধারার শাস্তি
কোনো ব্যাক্তির বিরুদ্ধে মিথ্যা যৌতুকের মামলা করলে, আসামি পক্ষ মামলা হতে খালাস পাবার পর মামলার বাদীর বিরুদ্ধে মামলা করলে অত্র মামলার বাদী যৌতুক নিরোধ আইন ২০১৮ সালের ৬ ধারায় অভিযুক্ত হবেন। এবং অভিযুক্ত ব্যাক্তির অনধিক পাঁচ বছর কারাদণ্ড বা অনধিক পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবে।