বাংলাদেশের আইনে অপরাধীদের অপরাধের ধরণ অনুযায়ী আদালত বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড বা সাজা দিয়ে থাকে। এমন কি গুরুতর অপরাধ করার কারণে ও মৃত্যুদন্ড দিয়ে থাকে। অপরাধী ব্যাক্তি বা ব্যাক্তিগন এই আদালতের রায় বা আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে খালাস বা দন্ড হ্রাসের আবেদন করে থাকেন। উচ্চ আদালত অনেক সময় নিম্ন আদালতের আদেশ বা রায় বহাল রাখে। আবার অনেক সময় খালাস ও দিয়ে থাকেন। এই ক্ষেত্রে আদালতের রায় ছাড়া ও অনেক সময় সরকার বা মহামান্য রাষ্ট্রপতি অপরাধীর সাজা বা দন্ড মওকুফ করেন বা খালাস বা মৃত্যুদন্ড বাতিল করতে পারেন। যাহা বাংলাদেশের দন্ডবিধি আইনের ৫৪ এবং ৫৫ ধারায় এই বিষয়ে বিধান রয়েছে।
নিচের যে অংশ থেকে পড়তে চান, ক্লিক করুন:
সরকার কর্তৃক মৃত্যুদন্ড হ্রাসকরণ
দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ৫৪ ধারা মতে, যে সকল অপরাধী কে মৃত্যুদন্ড সাজার রায় দেওয়া হয়েছে। তাদের প্রত্যেকের সম্মতি ছাড়াই সরকার তাদের মৃত্যু দন্ড হ্রাস করতে পারবেন এবং অন্য যে কোনো স্বল্প দণ্ডে পরিবর্তন করতে পারবেন।
সরকার কর্তৃক যাবজ্জীবন কারাদন্ড হ্রাস করণ
দন্ডবিধি ১৮৬০ এর ৫৫ ধারা মতে যে সকল মামলার অপরাধী কে আদালত যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেছে। তাদের প্রত্যেকের ক্ষেত্রে সরকার অপরাধীর সম্মতি ছাড়াই কারাদণ্ড হ্রাস করতে পারবেন এবং সর্বোচ্চ বিশ বছর মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিতে পারবেন বা পরিবর্তন করতে পারবেন। ।
মহামান্য রাষ্ট্রপতির বিশেষ অধিকার সংরক্ষণ
দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ৫৫(ক) ধারা মতে, মহামান্য রাষ্ট্রপতির বিশেষ অধিকার সংরক্ষণে খালাস বা দন্ডহ্রাস বা মৃত্যুদন্ড হ্রাস করার আদেশ প্রদান করা হয়েছে। সেই সকল ক্ষেত্রে দন্ডবিধি আইনের ৫৪ ধারা এবং ৫৫ ধারার বিধান প্রযোজ্য হবে না। বা মৃত্যুদণ্ড মওকুফ বা স্থগিত করা বা দণ্ডহ্রাস করা কোনো অধিকার ক্ষুন্ন হবে না।