মানুষ সবচেয়ে বেশি বিগ্রে যায় কখন জানো, যখন মানুষ বুঝতে পারে যে, সে সবচেয়ে বেশি সময় নষ্ট করে চলছে। কেউ বার্গার খাওয়ার কথা বলছে, তাকে না বলতে পারছে না। বা কেউ তোমাকে যেতে বলছে, সেখানে ও না বলতে পারছো না। কিন্তু তুমি জানো যে, তোনার কত কাজ করতে হবে। আর এটাও জানো যে,কত কম সময়ে তোমাকে কত কিছু করতে হবে। কিন্তু শুয়ে থাকো বা রেস্ট করো, কিন্তু আফসোস, কেউ কিছু বললে তা না বলতে পারি না বা না করতে পারি না।
আজকে আমাদের না বলার অভ্যাস না থাকার জন্য আমদের জীবন থেকে কত কিছু যে কেড়ে নিচ্ছে, তার কোনো খেয়াল নেই। মানুষের জীবন পুরো শেষ করে দেয়, শুধু মাত্র এই একটা ভুল। যেখানে যে নিজের সিদ্ধান্তের বাহিরে কাজ করে না বলতে পারে না। সে জানে, তাকে করতে হবে। কিন্তু যদি ঘোরাফেরা করার সুযোগ পেয়ে যায়।তাহলে সেটা না করতে পারে না। সে সব কিছু জানে, যে কি হচ্ছে তার সাথে, কেন হচ্ছে, জানে তার সাথে খারাপ হতে পারে। তার পরেও কিছুই করতে পারে না। শুধু মাত্র বেখেয়াল হয়ে বসে থাকে। সব কিছু সহ্য করতে পারে। কিন্তু না বলতে পারে না। দশ জনের মধ্যে একজন থাকে যে,না বলতে পারে। যে,আমাকে দিয়ে হবে না বা আমি করবো না। সবাই শুরু ঐ ভিরে আটকে থাকে আর হ্যা এর সাথে হ্যাঁ মিলাতে থাকে। আর এটাই তোমার সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর দিক।
কিন্তু ঐ সব ব্যাক্তিই তোমাকে সাহায্য করতে যাবে, এবং কোনো একটি দূর্ঘটনা হলেই ঠিক উল্টো টা বলবে যে, তোমাকে এটা করতে বলেছি। বা এখানে যেতে বলেছি? তুমি করেছো, এটা তোমার ভুল। শুধু এই জিনিস টাই মানুষ কে ভিতরে ভিতরে ভয় পায়। কিন্তু নিজের কষ্ট টা কাউ কে দেখাতে পারে না। যার জন্য সে নিজের চোখে নিজেই ছোট হয়ে যায়। এখন নিজেই ভাবো যে,একজন মানুষ কার জন্য বাচে। কিন্তু রাস্তায় অনেক সমস্যা আসবে। আনেক প্ল্যান করি। যে আজ এটা করবো, কাল এটা করবো। ধীরে ধীরে অনেক প্ল্যান করি।
আর যখন সেই সময় গুলো আসে তখন মানুষ বের করে। বিভিন্ন রকম বাহানা। যতই বাহানা আসলেও না বলতে পারে না। যে বাহানা থেকে কোনো কিছুই শিখতে পারে না। তোমার জন্য কার্যকরী নয়। এমন বিষয় নিয়ে বাহিরে থেকে লোক আসবে।এর কারণে তোমার মন ই তোমাকে বিগ্রাবে। তখন তোমার এই মন কে ও না বলাতে শিখাতে হবে। তবে এটা শিখো, হয় না বলো। আর না হলে দুই মিনিটে জন্য মন টা কে ভাড়ী করো। অথবা অন্যের সুখের জন্য হ্যাঁ বলো আর নিজের সর্বনাশ করো আর নিজে নিজেই ভুক্তে থাকো।
জীবন যদি এতো টা সহজ হতো তাহলে আর কোনো কথায় হতো না। সবাই কে না বলা শিখতে হবে। যারা নিজের খারাপ জিনিসের বাহানা দিয়ে না বলে, তাড়াই জীবনে কিছু করতে পারে। কোনো এক উদ্দেশ্যে পৌঁছাতে পারে। জীবনে ভালো কিছু তখনই শুরু হয়, যখন মানুষ নিজের সিদ্ধান্তে চলতে শুরু করে। কিন্তু একটা প্রশ্ন আছে। যে আমরা কিভাবে না বলবো? এতে আমাদের সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে বা আমাদের ইমেজ নষ্ট হতে পারে। এটা হয়ে যে, আমাদের না বলতে না পারার কারণে অনেক লোকসান হচ্ছে।
নিচের যে অংশ থেকে পড়তে চান, ক্লিক করুন:
এখন ব্যাস্তব পাঁচ টি কথা সম্পর্কে জানবো।
১। সবাই নিজের ভালো চায়।
কেউ তোমাকে কেন ডাকছে। আসলে কি তুমি কারো কি স্পেশাল। যদি তুমি স্পেশাল হও তাহলে কেনো এতো উদাস থাকো। অন্য কে বার বার মেসেজ দিয়ে কেনো অপেক্ষায় থাকো। কেন একাকিত্ব আর আসহায় অনুভব করো। আসলে ব্যাস্ততা এটা যে, সব মানুষ নিজের ভালো চায়। যেগুলো মানুষের মতলব আর টার্গেট থাকে। যদি কেউ পার্টি দেয়। তবে তুমি ঐ সময় টায় তার টাইমপাস। সব সময় সব মানুষ জরুরি নয়। অনেক সময় মানুষের খারাপ চিন্তা ও কাজ করে। আবার কিছু মানুষ এই রকম হয়। যার সাথে তোমার ওঠা বসা করলে তোমার ভালো হবে। আর এটার কারণ পরবর্তী ব্যাস্ততা থেকে বুঝবে।
২। তুমি রেডি
তুমি কি রেডি, তোমার সময় নষ্ট করার জন্য। জীবন খারাপ করার জন্য। কোনটার জন্য তুমি রেডি। একবার চিন্তা করো। যদি সময় টা খারাপ করার জন্য হয়। জীবনের বারোটা বাজানোর জন্য যদি রেডি হয়ে থাকো।তাহলে চিন্তা করার দরকার নেই। পরে চিন্তা করিও। যখন যেখানে যাওয়া যাও। যখন যা পাওয়ার পাও। কিন্তু তোমার জীবন গড়ার বা আজকের দিন খারাপ না করার প্ল্যান সবার আগে মনে আসে তাহলে ঐ টা তখনই না বলে দেও। এমন কিছু অফার আসছে। তুমি সেখানে না বলে দাও। মনে অনেক চিন্তা আসবে। কিন্তু তোমার আজকের প্রথম কাজ পুরো করবে। যদি তুমি আজকের কাজ আজকে শেষ না করো। আজকের কাজ শেষ না করে। অন্যের কথায় হ্যাঁ বলে অন্যের কাজ করতে গেলে জীবনে সফল হওয়ার আশা ছেড়ে দাও।
৩। কখন না বলবে, আর কখন হ্যাঁ বলবে
যদি সত্যি সত্যি তোমার কাজ হয়ে গেছে বা তুমি সময়ের সাথে এগিয়ে যাচ্ছো। ভবিষ্যতে বড় কিছু না করতে চাও তাহলে সামনের মানুষ কে হ্যাঁ বলে সামনে এগুতে পারো। সব সময় উত্তর না হবে এমন নয়। ঐ সব উত্তর না হবে যেখানে লোকসান থেকে বাঁচা যায়। তবে যেখানে রিক্স আছে, নেশা আছে,আসক্তি আছে এই রকম জায়গায় যাওয়া কে না বলাই ভালো। কেবল যেখানে নিজের কাজ পুরো করা যায় আর লোকসান নেই সেখানেই হ্যাঁ বলো। আর সামনে এগিয়ে যাও। আর কথা না বলো আর কথা শেষ করো।
৪। কারো কিছুতে কারো কিছু যায় আসে না
এটা একটা বড় ব্যাস্ততা। এখানে কারোর জন্য কারো কিছু যায় আসে না। আর যদি কিছু যায় আসে তাও তা এক দুই পলকের জন্য। এইজন্য অনেক বেশি চিন্তা করা ছেড়ে দাও। তুমি চাইলেই হ্যাঁ বলো বা না বলো, এর প্রভাব জীবনে পড়বেই। তোমার কাজের মধ্যেই দেখা যাবে। বাঁকি মানুষের কোনো কিছু যায় আসে না। এটা তো সবচেয়ে বড় পেশা, যা মানুষ এখন নিয়ে ঘুরে।আর সবার সব কোথায় হ্যাঁ তে হ্যাঁ মিলাতে থাকে। আর পরে আফসোস করতে থাকে। মানুষ যখন স্পেশাল ভ্যালু থাকে তখন নিজে নিজেই না বলা শিখে যায়।
৫। না বলায় ভালো
যদি এই সব জিনিস কাছ থেকে দেখো তাহলে না বলাই ভালো। সব সময়ের জন্য না। কিন্তু এর ক্যালকুলেশন বের করা হয়। তাহলে একজন মানুষের যতটা লাভ হতে পারে। অসম্মতি না জানাতে পারলে এর থেকে বেশি ক্ষতির মুখোমুখি হতে হবে। আর সময়ের অপচয় করলে আফসোস নিয়েই বেঁচে থাকতে হবে। অন্যের কথায় হ্যাঁ তে হ্যাঁ মিলানো খারাপ অভ্যাস। খারাপ অভ্যাস মানুষ কে কোথায় ছাড়বে না। সত্য এটাই যে জীবনে ৭০ থেকে ৮০% জিনিসই কোনো কাজেরই না। কোনো কাজের মানেই এই না যে ঐ টাকে হ্যাঁ বলা। ঐ টা কে না বলে দাও আর পিছনে ফিরে আসো আর সামনে এগিয়ে যাও। এর মানে না বলাই আমাদের জীবনের বাধা হওয়া রাস্তা পরিস্কার করে দেয়। তাই না বলাটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।