ত্বক শুষ্ক হওয়ার কারণ : শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে পর্যাপ্ত জল পানের বিকল্প নেই। শরীরে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখতেও জল বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এ ছাড়া ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে শরীরকে জলশূন্য করা উচিত নয়। এ কারণেই চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদরা দিনে ২-৩ লিটার জল পান করার পরামর্শ দেন। তবে পর্যাপ্ত জল পান করার পরও ত্বকের কিছু সমস্যা থেকে যায়। শীতকালে ত্বক শুষ্ক হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু গরমে জল, শরবত, ডিটক্স ড্রিঙ্কস খাওয়ার পরও শুষ্ক ত্বক তার উজ্জ্বলতা হারিয়ে শুষ্ক হয়ে যায়, আসুন জেনে নেই কেন এমন হয়।
নিচের যে অংশ থেকে পড়তে চান, ক্লিক করুন:
ত্বক শুষ্ক হওয়ার কারণ ও প্রতিকার
ভুল প্রসাধনী ব্যবহার:
- অনেক প্রসাধনীতে ক্ষতিকর রাসায়নিক থাকে যা ত্বকের প্রাকৃতিক তেল শোষণ করে।
- এর ফলে ত্বক শুষ্ক, টানটান এবং সংবেদনশীল হয়ে পড়ে।
অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন:
- ধূমপান এবং মদপান ত্বককে জলশূন্য করে তোলে।
- এর ফলে ত্বকে রক্ত চলাচল ব্যাহত হয় এবং ত্বকের আর্দ্রতা কমে যায়।
- হরমোনের পরিবর্তনেও ত্বকের শুষ্কতা বৃদ্ধি পেতে পারে।
অন্যান্য কারণ:
- ঠান্ডা এবং শুষ্ক আবহাওয়া
- অতিরিক্ত গরম পানিতে গোসল
- দীর্ঘক্ষণ সূর্যের আলোতে থাকা
- কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
- ত্বকের কিছু রোগ
প্রতিকার: মুখের ত্বক শুষ্ক হলে করনীয়
- সঠিক প্রসাধনী ব্যবহার: ত্বকের ধরণ অনুযায়ী প্রসাধনী নির্বাচন করা গুরুত্বপূর্ণ। প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি প্রসাধনী ব্যবহার করা উচিত।
- স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন: পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা, ধূমপান ও মদপান ত্যাগ করা এবং নিয়মিত ব্যায়াম করা ত্বকের জন্য উপকারী।
- ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার: ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখার জন্য নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত।
- সঠিক ত্বকের যত্ন: ত্বক পরিষ্কার করার জন্য মৃদু ক্লেনজার ব্যবহার করা উচিত। গরম পানির পরিবর্তে ঠান্ডা বা হালকা গরম পানি ব্যবহার করা উচিত।
- পর্যাপ্ত ঘুম: পর্যাপ্ত ঘুম ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
অনেক সময় ভুল প্রসাধনী ব্যবহার করলে ত্বক শুষ্ক হতে পারে। পর্যাপ্ত জল পান করলেও এই সমস্যা দূর হয় না। সেসব প্রসাধনীতে থাকা ক্ষতিকর রাসায়নিকের কারণে অ্যালকোহল ত্বকের থেকে প্রাকৃতিক তেল শোষণ করে। ফলে ত্বকে বাড়তি টান দেখা দিতে পারে। ত্বক অতিরিক্ত সংবেদনশীল হয়ে উঠতে পারে।
ধূমপান এবং মদপানের মতো অভ্যাস ত্বককে জলশূন্য করে তুলতে পারে। ফলে ত্বকে রক্ত চলাচল ব্যাহত হয়। হরমোনের পরিবর্তনেও ত্বকের আর্দ্রতা কমে যায়। ত্বক থেকে তারুণ্যের আভাও নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: ত্বকের শুষ্কতা যদি দীর্ঘস্থায়ী হয় বা তীব্র হয়, তাহলে একজন চর্ম বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।