পাখি প্রকৃতির একটি অন্যতম প্রধান পরিবেশ। আমাদের দেশে এক সময় দেশি বিদেশি অতিথি প্রচুর পাখি দেখা যেত।বিশেষ করে শীতকালের শেষের দিকে প্রচুর অতিথি পাখি ক্ষেত খামারে দেখা যেত। এই পাখি গুলো ফসলী জমির ক্ষতিকর পোকামাকড় খেয়ে ফসল রক্ষা করে থাকে। তেমনি অনেক পাখি ময়লা আবর্জনা হতে মরা জীব জন্তুুর মাংস খেয়ে করে পরিবেশ দূষণ রোধ করে থাকে। বর্তমানে পাখি শিকার ও বনাদি গাছ কেটে আবাসস্থল ধ্বংস করার কারণে পাখি দিন দিন বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। আর এই পাখি শিকার করা আইনত একটি শাস্তি যোগ্য অপরাধ।
এজন্য আমাদের দেশি বিদেশি পাখি শিকার প্রতিরোধে সচেতন হতে হবে এবং পাখি সংরক্ষণের জন্য সচেতন ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন ২০১২ এর যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সচেতন হতে হবে।
নিচের যে অংশ থেকে পড়তে চান, ক্লিক করুন:
পাখি শিকার করার শাস্তি
বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন ২০১২ এর ধারা ৩৮ (১) অনুযায়ী কোনো ব্যাক্তি কোনো পাখি বা অতিথি পাখি হত্যা করলে সেই ব্যাক্তি এই আইনে অপরাধ করেছে বলে গণ্য হইবে এবং তার এই অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ এক বছর পর্যন্ত কারাদন্ড বা সর্বোচ্চ এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ড অথবা উভয় দন্ড হইবে এবং একই অপরাধ পুনরায় করলে সর্বোচ্চ দুই বছর পর্যন্ত কারাদন্ড বা সর্বোচ্চ দুই লক্ষ টাকা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ড হইবে।
পাখি ক্রয় বিক্রয় করার শাস্তি
বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন ২০১২ এর ধারা ৩৮ (২) অনুযায়ী কোনো ব্যাক্তি কোনো পাখি বা অতিথি পাখির ট্রফি বা অসম্পূর্ণ ট্রফি অথবা মাংস দেহের অংশ সংগ্রহ করলে বা নিজ দখলে রাখলে অথবা ক্রয় বা বিক্রয় করলে বা পরিবহন করলে, সেই ব্যাক্তি এই আইনে অপরাধ করেছে বলে গণ্য হইবে এবং তার এই অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ ছয় মাস পর্যন্ত কারাদন্ড বা সর্বোচ্চ ত্রিশ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ড অথবা উভয় দন্ড হইবে এবং একই অপরাধ পুনরায় করলে সর্বোচ্চ এক বছর পর্যন্ত কারাদন্ড বা সর্বোচ্চ পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ড হইবে।
উপসংহার
আপনার এলাকায় কোনো প্রকার পাখি শিকার বা পাখি ক্রয় বিক্রয় করিতে বা উদ্দ্যোগ নিতে যথাযথ সাক্ষ্য প্রমাণ সহ আপনার নিকটস্থ থানায় যোগাযোগ করুন। সম্ভব হলে নিকটস্থ থানায় সাধারণ ডায়েরি করুন। আপনার নিকটস্থ থানা কর্তৃপক্ষ দ্বায়িত্বে অবহেলা করিলে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট যোগাযোগ করুন। অথবা ৯৯৯ এ কল করে বিস্তারিত জানতে চেষ্টা করুন।