কেউ মিথ্যা জিডি করলে! মিথ্যা জিডি হলে করণীয় কী?

মিথ্যা জিডি হলে করণীয়ঃ আপনার বিরুদ্ধে যদি কেউ থানায় মিথ্যা জিডি/সাধারণ ডায়েরি করে, তাহলে আপনি কি করবেন? আজকে এই বিষয় টি নিয়ে মতামত দিবো!

মিথ্যা জিডি হলে করণীয়

কেউ আপনার বিরুদ্ধে থানায় জিডি/সাধারণ ডায়েরি করলে, থানা থেকে আপনাকে নোটিশ করবে অথবা থানা পুলিশ আপনাকে সরাসরি জিজ্ঞাসাবাদ করবে বা মৌখিক ভাবে নির্দিষ্ট তারিখে থানায় হাজির হতে বলবে। এরপর আপনি থানায় যোগাযোগ করে, জিডি/সাধারণ ডায়েরির কপি সংগ্রহ করবেন। এরপর জিডি/সাধারণ ডায়েরি সম্পুর্ন পর্যালোচনা করে, যদি আমল যোগ্য অপরাধ হয়ে থাকে। তাহলে জিডি/সাধারণ ডায়েরির ফরওয়ার্ডিং আদালতে প্রেরণ করবেন। 

এরপর আদালতে ম্যাজিস্ট্রেট এ এজাহারকারীর জবানবন্দি নিবেন এবং যদি মনে করেন যে,আমল যোগ্য অপরাধ, তাহলে পুনরায় তদন্তের জন্য আদেশ দিবেন। 

জিডি/সাধারণ ডায়েরি হওয়ার পর যদি আমল যোগ্য অপরাধ যথাযথ প্রমাণ থাকে যা জিআর মামলা হিসেবে সরাসরি গ্রেফতার পূর্বক আদালতে প্রেরণ করবেন।

এবং আপনি “আসামির প্রতি সমন” নোটিশ পাবেন। এরপর আপনি চাইলে, আইনজীবীর মাধ্যমে কোর্ট থেকে জিডি/সাধারণ ডায়েরির কপি বা প্রাথমিক তথ্য বিবরণীর কপি নিতে পারবেন। 

এরপর আপনাকে একজন অভিজ্ঞ আইনজীবীর পরামর্শ নিতে হবে। এবং আদালতে হাজির হয়ে, চার্জশিট আসা পর্যন্ত অন্তবর্তীকালীন জামিন নিতে হবে। এরপর চার্জশিট আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তবে চার্জশিট আসার পর যদি অপরাধ প্রমাণিত না হয় তাহলে আদালত থেকে আপনাকে অব্যবহিত দিবেন বা খালাস প্রদান করবেন। 

এরপর একজন অভিজ্ঞ আইনজীবীর মাধ্যমে ঐ মামলার জাবেদা নকল তোলবেন। এবং একজন অভিজ্ঞ আইনজীবীর পরামর্শ নিয়ে মামলা করতে পারবেন। 

মিথ্যা জিডির বিরুদ্ধে কত ধারায় মামলা করবেন?

দণ্ডবিধি আইনে মিথ্যা অভিযোগের বিরুদ্ধে মামলাঃ- 

মিথ্যা জিডির বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ আইনজীবীর পরামর্শ নিতে হবে। যদি কেউ আপনার ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে আপনার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেন। অথবা মিথ্যা অপরাধ,ঘটনা উল্লেখ করে ফৌজদারি মামলা করেন। অথবা কোনো অপরাধ করে বলে তা মিথ্যা জানা স্বত্বেও আপনার উপর মিথ্যা অভিযোগ করেন। তবে সেই ব্যাক্তির “দন্ডবিধি ১৮৬০” এর ২১১ ধারা মতে দুই বছর পর্যন্ত যে কোন মেয়াদে সশ্রম অথবা বিনাশ্রম কারাদণ্ড হবে, অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে। 

এটি পড়ুনঃ   ডিভোর্স দিতে কত টাকা লাগে এবং ডিভোর্স দেওয়ার নিয়ম জেনে নিন

এছাড়াও একই ভাবে আপনার বিরুদ্ধে এমন কোনো মিথ্যা অপরাধ উল্লেখ করে বা মিথ্যা অপরাধ উল্লেখ করে ফৌজদারি মামলা করে, যার ফলে আপনার মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা সাত বছর পর্যন্ত সাজা হতো, তাহলে সেই ব্যাক্তির “দন্ডবিধি, ১৮৬০” এর ২১১ ধারা মতে সাত বছর পর্যন্ত  যে কোন মেয়াদে সশ্রম অথবা বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবে। এছাড়াও তাকে অর্থদণ্ড করতে পারে।  

ফৌজদারি আইনে মিথ্যা অভিযোগের বিরুদ্ধে মামলাঃ- 

আপনার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ যদি বিচারের জন্য আদালতে ম্যাজিস্ট্রেট এর নিকট মামলা হয়। তবে ম্যাজিস্ট্রেট কোনো সাক্ষ্যপ্রমাণ না পাওয়ার অব্যবহিত বা খালাস দেন এবং আপনি যদি মনে করেন যে, যে আপনার বিরুদ্ধে মিথ্যা,তুচ্ছ বা বিরক্তিকর অভিযোগ দ্বারা ফৌজদারি মামলা করেছে। তাহলে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮ এর ২৫০ ধারা মতে অভিযোগ দাতার প্রতি ক্ষতিপূরণ এর জন্য কারণ দর্শাইবার জন্য সমন জারীর নোটিশ এর আদেশ দিবেন

এরপর অভিযোগ দ্বাতাকে ম্যাজিস্ট্রেট কারণ জিজ্ঞেস করিবেন এবং তা লিপিবদ্ধ করবেন। যদি পর্যালোচনা পূর্বক অভিযোগ টি মিথ্যা হয়ে থাকে তাহলে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য ম্যাজিস্ট্রেট কতৃক নির্ধারণ কতে দিবেন। এবং ক্ষতি পূরণ আদেশে ব্যার্থ হলে ৩০ দিনের আনধিক বা ছয় মাস পর্যন্ত বিনাশ্রম সাজা দিবেন। অথবা ম্যাজিস্ট্রেট কতৃক নির্ধারণ জরিমানা দিবেন। (সংক্ষিপ্ত বিবরণী)

মনে রাখবেনঃ- সকল প্রকার আইনি মামলা মোকদ্দমার কাজে একজন অভিজ্ঞ আইনজীবীর পরামর্শ নিবেন। এবং আইনজীবীর মাধ্যমে মামলা পরিচালনা করবেন। 

WhatsApp Group Join Now
Joe Smith

Hi, I am Joe Smith. I love to share my thoughts on my website, loves to write on various topics according to the trends.

Leave a Comment

Home
Join
Facebook
Search
হারানো Gp সিম বন্ধ করার উপায়, সহজ পদ্ধতি জেনে নিন মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়া এবং দিলে করণীয় কী? জানুন স্টোরি থেকে