যৌতুক দাবি করার শাস্তি এবং যৌতুক মামলা ধারা ৩ সম্মন্ধে জানুন

যৌতুক নিরোধ আইন ২০১৮ সালের আইন থেকে যৌতুক দাবি করার শাস্তি সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো। এবং যৌতুক সংক্রান্ত মিথ্যা মামলা করার শাস্তি সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো। তার আগে আমাদের জানা দরকার যে, যৌতুক যে দিবে সে নিজেও অপরাধ করেছে এবং যে যৌতুক নিবে সে ও অপরাধ করেছে। অর্থাৎ সাধারণ ভাষায় বলা যায় যে, যৌতুক দেওয়া বা নেওয়া দুটোই অপরাধ। এজন্য আমরা যৌতুক দিবো না বা নিবো না। বরং আজকে আমরা যৌতুক দেওয়া বা নেওয়ার বা যৌতুক দাবি করার শাস্তি সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো।

যৌতুক দাবি করার শাস্তি  

যদি কোনো ব্যাক্তি বিয়ের কোনো এক পক্ষ অন্য কোনো পক্ষ পক্ষের নিকট থেকে কোনো যৌতুক দাবি করে। সেটা অর্থ, সম্পদ, বা অন্য কিছু হতে পারে। তাহলে সেই ব্যাক্তি যৌতুক নিরোধ আইন ২০১৮ সালের ৩ ধারা মতে অপরাধ করেছে এবং এই অপরাধের জন্য অনধিক পাঁচ বছর কিন্তু নূন্যতম এক বছর কারাদণ্ড বা অনধিক পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবে। 

যৌতুক প্রদান বা গ্রহণ করার শাস্তি 

যদি কোনো ব্যাক্তি বিয়ের কোনো এক পক্ষ কে যৌতুক প্রদান বা অন্য পক্ষ গ্রহণ করে। বা কোনো এক পক্ষ যৌতুক প্রদান বা গ্রহণ করতে সহায়তা করে বা যৌতুক প্রদান করতে বা গ্রহণ করতে বা করার উদ্দেশ্যে চুক্তি করে। তাহলে সেই ব্যাক্তি যৌতুক নিরোধ আইন ২০১৮ সালের ৪ ধারা মতে অপরাধ করেছে। এবং এই অপরাধের জন্য অনধিক পাঁচ বছর কিন্তু নূন্যতম এক বছর কারাদণ্ড বা অনধিক পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবে। 

এটি পড়ুনঃ   মিথ্যা সাক্ষ্য দিলে করণীয় কী? - না জানলেই বিপদ, তাই জানুন আজই

যৌতুক সংক্রান্ত চুক্তি ফলবিহীন

যৌতুক নিরোধ আইন ২০১৮ সালের ৫ ধারা মতে উদ্দেশ্য পূরণ করার লক্ষ্যে যৌতুক প্রদান বা গ্রহণ করা সংক্রান্ত যে কোনো চুক্তি ফলবিহীন (VOID) হবে। 

যে সকল অপরাধ করলে মৃত্যুদন্ড হতে পারে

মিথ্যা মামলা বা অভিযোগ করার শাস্তি 

যদি কোনো ব্যাক্তি অন্য কোনো ব্যাক্তির  ক্ষতি সাধনের উদ্দেশ্যে যৌতুক নিরোধ আইনের মামলা বা অভিযোগ করে বা করার জন্য ন্যায় বা আইনাগত কোনো কারণ নাই জানা স্বত্বেও মামলা বা অভিযোগ করে বা করায় তাহলে সেই ব্যাক্তি যৌতুক নিরোধ আইন ২০১৮ সালের ৬ ধারা মতে অপরাধ করেছে। এবং এই অপরাধের জন্য অনধিক পাঁচ বছর কারাদণ্ড বা অনধিক পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবে। 

আমল যোগ্য এবং জামিন অযোগ্য

যৌতুক নিরোধ আইন ২০১৮ সালের ৭ ধারা মতে যৌতুক নিরোধ আইন ২০১৮ সালের আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধ সমূহ আমল যোগ্য ও জামিন অযোগ্য এবং আপোষ যোগ্য হবে। অর্থাৎ এই মামলায় অপরাধ প্রমাণিত হলে কেবল মাত্র অপোষ এর শর্তে জামিন নিতে পারবেন। অন্যথায় আইন অনুযায়ী সাজা ভোগ করতে হবে। 

পড়ুনঃ পাখি শিকার করার শাস্তি | পাখি ক্রয় বিক্রয় করার শাস্তি

WhatsApp Group Join Now
Avatar of Joe Smith
Joe Smith

Hi, I am Joe Smith. I love to share my thoughts on my website, loves to write on various topics according to the trends.

Leave a Comment

Home
Join
Facebook
Search
হারানো Gp সিম বন্ধ করার উপায়, সহজ পদ্ধতি জেনে নিন মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়া এবং দিলে করণীয় কী? জানুন স্টোরি থেকে