জীবনধারা

একজন শিক্ষার্থীর শিক্ষা জীবন

একজন শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন শেষ করতে অনেকটা সময় লেগে যায়। আর এই শিক্ষা জীবনে কিছু ভুল, সঠিক কিছু শিখিয়ে দেয়। আবার কিছু ভুল ভবিষ্যৎ নষ্ট করে দেয়। তবে একজন শিক্ষার্থীর প্রাইমারি, হাই-স্কুল,কলেজ এই তিন ধাপে সর্বোচ্চ খেয়াল রাখা দরকার। 

একজন শিক্ষার্থীর প্রাইমারি স্কুল জীবন 

একজন প্রাইমারি স্কুল লেবেলের শিক্ষার্থী তার জীবনের প্রথম শিক্ষনীয় ধাপ। এখন থেকে যাহা শিখানো হবে তাই শিখবে। এই সময় সকল চাহিদা পূরণ করা যাবে না। কারণ এখনও ভালো মন্দ যাচাই করার পরিপক্ক ক্ষমতা হয় নি। যদি একজন অবিভাবক মনে করেন যে,আমার সন্তান যা চাইবে তাই পাইবে, আমার অর্থ সম্পদ এর অভাব নেই। তাহলে ঐ শিশু শিক্ষার্থী যা চাইবে তাই পাইবে। কিন্তু লেখাপড়ায় মনোযোগী হবে না। প্রাইমারি লেবেলে যতটা চাহিদা তার প্রভাব পড়বে হাই-স্কুল লেবেলে। প্রতি টা চাহিদা মেটানোর পরও দেখা যায় একজন শিক্ষার্থী কে একাধিক প্রাইভেট বা কোসিং এ পড়ানো হয়। এর পরও ভালো রেজাল্ট করতে পারে না। 

একজন শিক্ষার্থীর হাই স্কুল জীবন (শিক্ষা জীবন)

হাই স্কুল জীবন শুরুতে একজন শিক্ষার্থী শিক্ষা জীবনের একটি ধাপ অতিক্রম করে আসে। আর গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এই হাই স্কুল লেবেলে অধিকাংশ শিক্ষার্থী তাদের অবিভাবকের ভুলে নষ্ট হয়ে যায়। হাই স্কুল লেবেলে একজন শিক্ষার্থী সকল চাহিদা পূরণ করতে সকল অবিভাবক চায়। কিন্তু সকল অভিভাবক যাচাই করে দেখে না যে, তার সন্তান কোন কাজে খরচ করছে। 

কেমন বন্ধুদের সাথে চলাফেরা করছে। হাই স্কুল জীবনে সব চেয়ে বড় কষ্টের কাজ হলো বন্ধু যাচাই করা বা বন্ধু চেনা। এই সময় একজন অভিভাবক তার সন্তান কে সকল চাহিদা পূরণ করে তবে ঐ শিক্ষার্থী নিজের ভবিষ্যৎ চিন্তা না করে বর্তমানের চাহিদার কথা চিন্তা করে। এবং রঙিন সপ্ন দেখতে থাকে। এই সময় টা সাধারণত নেশা, নারী, তে আসক্ত হয়ে পড়ে। প্রেম ভালোবাসার রঙিন সপ্ন দেখতে থাকে। অল্পতেই মন ভাঙা হয়ে পড়ে। 

নেশাখোর বন্ধুদের সাথে চলাফেরা করতে করতে একটা সময় নেশা করতে শিখে। এই সময় টা একজন অভিভাবক যদি তার সন্তান কে অভাব টা বুঝতে দেয়। তবে সেই শিক্ষার্থী পরিবারের দিকে চেয়ে নিজের ভবিষ্যৎ এর কথা চিন্তা করবে। আরও লক্ষ্যনীয় বিষয় যে, হাই স্কুল জীবনের বয়স টা একটা কৌতুহলী বয়স! হাই স্কুল জীবন শেষে বা কলেজ জীবন শুরুতে এই বয়সে প্রেম ভালোবাসার আবেগে ছেলে মেয়ে তাদের পরিবার থেকে টাকা পয়সা সহ দামী কিছু নিয়ে পালিয়ে গিয়ে থাকে। কারণ তাদের অবিভাবক তাদের কখনো বুঝতে দেয় নি যে, উপার্জন করা কতটা কষ্টের বা অভাব টা কি!  

এজন্য তাদের বিশ্বাস যে, যাহা চাচ্ছি তাই খুব সহজেই পেয়ে যাচ্ছি। এজন্য তারা বর্তমান ভেবে নিজের চাহিদা, তৃপ্তি মিটিয়ে নিতে চায়। আবার একটা অভাবী পরিবারের শিক্ষার্থী দেখা যায় যে, মাঝে মধ্যে স্কুলে আসে। আবার বাহিরে দিন মজুর কাজ ও করে। এছাড়াও একটা গরিব পরিবারের শিক্ষার্থী দেখা যায় যে, সে কোনো প্রাইভেট বা কোসিং করে না, অথচ তার রেজাল্ট ভালো, কারণ সে নিয়মিত স্কুলে আসে এবং নিয়মিত স্কুলের পড়া গুলো পড়ে।

একজন শিক্ষার্থীর কলেজ জীবন 

বর্তমান কলেজ জীবন মানেই উন্মুক্ত জীবন। এই সময় কেউ কোনো কাজে বাধা দিবার থাকে না। এই সময় অনেক শিক্ষার্থী শিক্ষাজীবন থেকে ঝরে পড়ে। উপার্জন করতে ছুটে চলে। আবার কেউ চাকরির সন্ধানে ছুটে চলে। এই সময় অধিকাংশ শিক্ষার্থী মেসে বা হোটেলে থেকে লেখা পড়া করে। আর এই সময় টা তারা তাদের অবিভাবকের কাছে যা খরচ চায় তাই দিয়ে থাকেন। 

কারণ তাদের বিশ্বাস যে, তাদের সন্তান লেখাপড়ার জন্য মেসে বা হোটেলে আছেন। তবে কত টাকা কোন কাজে খরচ করছে তাহার কোনো হিসাব দিতে হয় না। এই সময় টা অধিকাংশ শিক্ষার্থী নেশা,নারী, জুয়া,রাজনীতি নিয়ে নষ্ট হয়ে যায়। 

এজন্য সকল অবিভাবকের তাদের সন্তানের শিক্ষাজীবনে সর্বদাই সকল বিষয়ে খেয়াল রাখা বা খোজ খবর রাখা দরকার। 

শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবনের মূল বিষয় 

একজন শিক্ষার্থীর শিক্ষা গ্রহণের মূল লক্ষ্য হয় তার ভবিষ্যৎ তৈরি করা। কিন্তু শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন কালে ভবিষ্যৎ জীবন কত কষ্টের বা উপার্জন করা কত টা কষ্টের বা অভাব টা কি ? তা পর্যালোচনা করার বা বুঝার কার্যক্ষমতা থাকে না। এজন্য একজন শিক্ষার্থী শিক্ষাজীবনে ভুল করে থাকে।

যেমন – প্রেম ভালোবাসা করে পালিয়ে যায়, প্রেম ভালোবাসায় ব্যার্থ মনে করে নেশা করা, আমার অনেক ক্ষমতা -আমার পেছনে নেতা আছে। এজন্য একজন শিক্ষার্থী কে সকল চাহিদা পূরণ না করে যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু দিন এবং খেয়াল রাখুন। একজন শিক্ষার্থী কে উপার্জন করা কতটা কষ্টের বা অভাব টা কি বুঝতে দিন। 

Joe Smith

Hi, I am Joe Smith. I love to share my thoughts on my website, loves to write on various topics according to the trends.

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button