চিঠি পাঠানোর নিয়ম : আমাদের অনেকেরই মনে প্রশ্ন থাকে যে, এখন ও কি চিঠির আদান-প্রদান আছে বা চিঠি পাঠানো যায়? অথবা অনেকেরই অজানা যে,চিঠি পাঠাতে কত টাকা খরচ হয়? এক সময় চিঠির আদান-প্রদান খুব জনপ্রিয় ছিলো। তবে মোবাইল ফোন আবিস্কারে সময়ে সাথে প্রযুক্তির পরিবর্তন এসেছে। যার কারণে চিঠির আদান-প্রদান কমে গেছে। তবে এখনও চিঠি আদান-প্রদান হয়।
নিচের যে অংশ থেকে পড়তে চান, ক্লিক করুন:
চিঠি পাঠাতে কত টাকা খরচ হয়?
পোস্ট অফিসের মাধ্যমে চিঠি পাঠাতে বাংলাদেশ ডাক বিভাগের নির্ধারিত ডাক মাসুল দিতে হবে। তবে সময়ে সাথে ডাক মাসুল পরিবর্তন হতে পারে। সেটি পোস্ট অফিসে যে ডিউটি তে থাকবে তাকে জিজ্ঞেস করে জেনে নিবেন। তবে বর্তমান একটি চিঠি পাঠাতে ৳১৩ টাকা ডাক মাসুল দিতে হয়। ডাক মাসুল বলতে পোস্ট অফিস থেকে ১৩ টাকার ডাক টিকিট/এডি টিকিট কিনতে হয়।
চিঠি পাঠাতে কি কি লাগে?
পোস্ট অফিসের মাধ্যমে চিঠি পাঠাতে একটি খাম, একটি প্রাপ্তির স্বীকার পত্র, ডাক মাসুল বা ডাক টিকিট ১৩ টাকা এবং প্রেরক, প্রাপকের নাম ঠিকানা লাগে।
চিঠি পাঠানোর নিয়ম
প্রথমে খামের বাম দিকে প্রেরকের সম্পুর্ন নাম ঠিকানা লিখতে হবে। এরপর খামের ডান দিকে প্রাপকের সম্পুর্ন নাম ঠিকানা লিখতে হবে। এরপর খামে ৮ টাকা ডাক টিকিট লাগাতে হবে। এরপর প্রাপ্তির স্বীকার পত্রে এক পৃষ্ঠায় প্রেরকের সম্পুর্ন নাম ঠিকানা লিখতে হবে। এরপর প্রাপ্তির স্বীকার পত্রের অপর পৃষ্ঠায় প্রাপকের নাম লিখতে হবে এবং প্রাপকের স্বাক্ষর করার জায়গা ফাঁকা রাখতে হবে। এরপর প্রাপ্তির স্বীকার পত্রে ৫ টাকা ডাক টিকিট লাগাতে হবে।
এরপর আপনার চিঠি খামের ঢুকিয়ে আঠা দিয়ে ভালো করে লাগিয়ে দিন। এরপর খামের অপর পৃষ্ঠায় প্রাপ্তির স্বীকার পত্র টি এক কোণের দিকে ট্রেপলার দিয়ে লাগিয়ে দিতে হবে। এরপর নিকটস্থ পোস্ট অফিসে গিয়ে জমা দিতে হবে। এবং জমা দেওয়ার পর আপনাকে একটা ডাক রিসিভ দিবেন। আপনার চিঠি পাঠানো কাজ শেষ। প্রাপক চিঠি পাবার পরে প্রাপ্তির স্বীকার পত্রে স্বাক্ষর করবেন এবং পোস্ট ম্যান প্রাপ্তির স্বীকার পত্র প্রেরকের ঠিকানায় পৌঁছে দিবেন।
আমাদের অন্যান্য লেখা পড়তে মূলপাতা দর্শন করুন।