তাহলে তোমার মাইন্ড অযুহাত দেখাবেই। যেমন পড়াশোনা করতে আসর দেওয়া লাগে। এজন্য আমাদের মাইন্ড আমাদের সামনে বাহানার পুরো লিস্ট দাড় করিয়ে দেয়। ভোড়ে ঘুম থেকে উঠতে পারো না। কারণ আপনি রাতেই দেরি করে ঘুমাও। আসলে কেউ কি দেরি করে ঘুমাতে বলেছিলো, কেন আপনি দেরি করে ঘুমাও? আবার আমরা দিনে যখন পড়তে বসি।
তখন অনেকেরই ক্ষুধা লেগে যায়। কিন্তু ক্ষুধার্ত অবস্থায় পড়া যায় না। আর যখন আমরা এতো বেশি খেয়ে নিই। তখন আর পড়া যায় না। একটা আলসতা কাজ করে শরীরের মধ্যে। এরপরে আমরা ভাবি পড়াশোনায় মন বসছেনা, মন টা একটু ফ্রেশ করে নিই।
মোবাইল একটু ব্যবহার করি বা অন্য কিছু করি। যার ফলে মন টা উল্টো কাজ করে। যখন আমরা বুঝতে পারি যে, মোবাইল ব্যবহার করতে বা অন্য কিছু করতে অনেক সময় নষ্ট হয়ে গেছে। আর এই সময় মাইন্ড কাজ করে, যা এই সময় সবচেয়ে বেশি জরুরি। এখন ঐ কাজ করো যাতে ভালো লাগে। আর তখন তোমার মাইন্ড সেটাই করবে।
যেটা তোমার ভালো লাগবে। আর যে কাজ তোমার সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। সেই কাজে তোমার সময় পাওয়া নির্দিষ্ট সময় থাকে না। কিছু কিছু মানুষ বলে যে আমার কাজ করার শক্তি অনেক কম। আমি অনেক দূর্বল। আসলে দূর্বল নয়।
এটা দেখ যে, কোনো কোনো সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। আর যেখানে তোমার ফোকাস এতো টাই যেন বেশি হয় যার কোনো লিমিট থাকে না।
এটা সহজ বিষয় যে, তুমি তোমার মাইন্ডের সাথে চলো তাহলে তোমার মাইন্ড, তোমাকে ধ্বংস করবে। তবে তোমার মাইন্ড সেটাই বেছে নিবে, যেটা তোমার ভালো লাগে। এটা সব সময় খারাপ জিনিস ই বেছে নেয়। একটা ফিল্ড থাকবে। সেখানে কয়েক জন ই সামনে এগিয়ে যাবে। আর কয়েক জন যেখানে আছে, সেখানেই থাকবে। তাহলে কি এমন কারণ যার ফলে কেউ এগিয়ে যাবে আর কেউ যেখানে ছিলো সেখানেই থাকবে। কি এমন সমস্যা আছে? যার কারণে মানুষ অনেক কিছু করে ফেলে আর অনেকেই কিছু করতে পারে না।
দেখো, প্রতিটি মানুষের ই ভালো মন্দ যাচাই করার মূল্য বোধ থাকে। কিন্তু মানুষের মাইন্ড বলে যে,ঐ কাজ করো যা তোমার জরুরি বা ঐ টাই করো যা তোমার ভালো লাগে।
আর যখন তুমি ভালো লাগা টা খেয়াল করবে, তখন তুমি বুঝতেই পারবে না যে তোমার জীবন/ভবিষ্যৎ নষ্ট হচ্ছে। আবার ভালো ও হতে পারে। আর সেটা নির্ভর করবে, তোমার মাইন্ড এর উপর। একটা কথা সব সময় মনে রাখবেন। তুমি জীবনে কিছু করতে চাও। তাহলে জীবনে ঠিকই মিলে যাবে।
যদি জীবনে কিছু না করতে চাও তাহলে অযুহাত মিলে যাবে। আর যদি অযুহাত দেওয়া শুরু করো তাহলে যেখানে আছো, সেখানেই থেকে যাবে। জীবনে কিছুই করতে পারবে না।
এজন্য অযুহাত দেওয়া ছেড়ে দাও। এজন্য একদিনে যতটুকু ই কাজ করো, যতটুকু তোমার দ্বারা কাজ করা সম্ভব। নিজে কে নিজেই বোঝাও। আমি ঐ সব ছেড়ে দিচ্ছি, যা আমার জীবনে উপর প্রভাব ফেলে। আমি সরে যাচ্ছি কেন? শুধু মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকার জন্য। তোমাকে এটা মানতে হবে যে, বিনা পরিশ্রমে কেউ উপরে উঠতে পারে না। নিজেই নিজে কে বলো, আমি আমার সব কাজ করতে রেডি, যা আমার জন্য জরুরি।
প্রথম অবস্থায় কাজ করতে একটু কষ্ট লাগবে। সুতরাং, একদিনে তুমি যতটা কাজ করতে পারো তা করে ফেলো। আর যে কাজেই তুমি করবে, সেই কাজেই সর্বোচ্চ টা দেওয়ার চেষ্টা করো। আর নিজেকে বলো যে আমি এটা করে দেখাবো। নিজেকে বিশ্বাস করাও যে আমি পারবো,আমি চেষ্টা করবো, আমি সফল হবো।