শিশু সংক্রান্ত অপরাধের শাস্তিঃ কোনো ব্যাক্তি যদি তার হেফাজতে বা দায়িত্বে বা পরিচর্যায় থাকা কোনো শিশুকে আঘাত বা উৎপীড়ন বা অবহেলা বা বর্জন বা অরক্ষিত অবস্থায় পরিত্যাগ ব্যাক্তিগত পরিচর্যার কাজে ব্যবহার করে বা অশালীন ভাবে প্রদর্শন করে এবং কোনো ভাবে আঘাত বা উৎপীড়ন বা অবহেলা বা বর্জন বা পরিত্যাগ ব্যাক্তিগত পরিচর্যার কারণে শিশুর কষ্ট হয় বা স্বাস্থ্যের কোনো ক্ষতি হয়, যার ফলে শিশুর দৃষ্টিশক্তি বা শ্রবণশক্তি নষ্ট হয় বা শরীরের কোনো অঙ্গ বা ইন্দ্রিয় এর ক্ষতি হয় বা কোনো মানসিক পরিবর্তন ঘটে, তাহলে সেই ব্যাক্তি শিশু আইন ২০১৩ এর ৭০ ধারা মতে অপরাধ করেছে।
নিচের যে অংশ থেকে পড়তে চান, ক্লিক করুন:
শিশু সংক্রান্ত অপরাধের শাস্তি
এই অপরাধের জন্য সেই ব্যাক্তির পাঁচ বছরের অধিক কারাদণ্ড বা এক লক্ষ টাকার অধিক অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ড হইবে।
শিশুকে দিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করার শাস্তি
যদি কোনো ব্যাক্তি কোনো শিশুকে দিয়ে ভিক্ষা করায় বা ভিক্ষার উদ্দেশ্যে কাজে লাগায় বা ভিক্ষার করার জন্য উৎসাহ প্রদান করেন। তাহলে সেই ব্যাক্তি শিশু আইন ২০১৩ এর ৭১ ধারা মতে অপরাধ করেছে। এই অপরাধের জন্য সেই ব্যাক্তির পাঁচ বছরের অধিক কারাদণ্ড বা এক লক্ষ টাকার অধিক অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড হইবে।
শিশুর দায়িত্বে থাকাকালে নেশাগ্রস্ত হবার শাস্তি
যদি কোনো ব্যাক্তি কোনো শিশুর দেখাশুনার দায়িত্বে থাকাকালে যদি প্রকাশ্য কোনো স্থানে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় পাওয়া যায় এবং নেশা করার কারণে সেই ব্যাক্তি শিশুটির যথাযথ দায়িত্ব পালনে ব্যার্থ হন, তাহলে সেই ব্যাক্তি শিশু আইন ২০১৩ এর ৭২ ধারা মতে অপরাধ করেছে। তার এই অপরাধের জন্য সেই ব্যাক্তির এক বছরের অধিক কারাদণ্ড বা পঞ্চাশ হাজার টাকার অধিক অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ড হইবে।
শিশুকে নেশা জাতীয় মাদকদ্রব্য বা বিপজ্জনক ঔষধ খাওয়ানোর শাস্তি
যদি কোনো ব্যাক্তি অসুস্থতা বা অন্য কোনো জরুরী কারণে উপযুক্ত যোগ্যতা সম্পন্ন ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনো শিশুকে নেশাগ্রস্তকারী মাদকদ্রব্য বা কোনো ঔষধ খাওয়ায়,তাহলে সেই ব্যাক্তি শিশু আইন ২০১৩ এর ৭৩ ধারা মতে অপরাধ করেছে। এই অপরাধের জন্য সেই ব্যাক্তির তিন বছরের অধিক কারাদণ্ড বা এক লক্ষ টাকার অধিক অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড হইবে।
শিশুকে মাদক বা বিপজ্জনক ঔষধ বিক্রয়ের স্থানে চলাচলের অনুমতি দেওয়ার শাস্তি
যদি কোনো ব্যাক্তি কোনো শিশুকে মাদকদ্রব্য বা বিপজ্জনক ঔষধ বিক্রয়ের স্থানে নিয়ে যায় বা এই রকম স্থানের স্বত্ত্বাধিকারী বা মালিক বা দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো ব্যাক্তি শিশুকে এই রকম স্থানে প্রবেশের জন্য অনুমতি দেয়, তাহলে সেই ব্যাক্তি শিশু আইন ২০১৩ এর ৭৪ ধারা মতে অপরাধ করেছে। এই অপরাধের জন্য সেই ব্যাক্তির তিন বছরের অধিক কারাদণ্ড বা এক লক্ষ টাকার অধিক অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে হইবে।
শিশুকে বাজি ধরতে বা ঋণ গ্রহণে করতে সহায়তা করার শাস্তি
যদি কোনো ব্যাক্তি মৌখিক বা লিখিত শব্দ দিয়ে বা কোনো প্রকার ইশারা দিয়ে বা অন্য কোনো ভাবে কোনো শিশুকে কোনো বাজি ধরতে বা পণ রাখতে অথবা কোনো বাজি বা পণভিত্তিক লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে অংশগ্রহণ করতে বা শেয়ার নিতে উসকানি প্রদান করে বা প্রদানের সহায়তা বা চেষ্টা করে অথবা এই ভাবে কোনো শিশুকে ঋণ গ্রহণ করতে বা ঋণ গ্রহণ মূলক কোনো লেনদেনে অংশগ্রহণ করতে উসকানি প্রদান করে। তাহলে সেই ব্যাক্তি শিশু আইন ২০১৩ এর ৭৫ ধারা মতে অপরাধ করেছে। এই অপরাধের জন্য সেই ব্যাক্তির দুই বছরের অধিক কারাদণ্ড বা পঞ্চাশ হাজার টাকার অধিক অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ড হইবে।
শিশুর নিকট থেকে কোনো কিছু বন্ধক গ্রহণ বা ক্রয় করার শাস্তি
যদি কোনো ব্যাক্তি কোনো শিশুর কাছে থেকে কোনো দ্রব্য, তাহা ঐ শিশুর পক্ষ থেকে বা অন্য কোনো ব্যাক্তির পক্ষ থেকে দেওয়া হোক না কেন, বন্ধক গ্রহণ করলে সেই ব্যাক্তি শিশু আইন ২০১৩ এর ৭৬ ধারা মতে অপরাধ করেছে। এই অপরাধের জন্য সেই ব্যাক্তির এক বছরের অধিক কারাদণ্ড বা পঁচিশ হাজার টাকার অধিক অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ড হইবে।
শিশুকে যৌনপল্লীতে বাস করার অনুমতি দেওয়ার শাস্তি
শিশু আইন ২০১৩ এর ৭৭ (১) ধারা মতে, চার বছরের অধিক বয়সের কোনো শিশুকে যৌনপল্লীতে বাস করতে বা গমনাগমন করতে সুযোগ বা অনুমতি প্রদান করা যাবে না।
আবার, এই আইনে শর্ত থাকে যে, চার বছর বয়স পার হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ঐ শিশুকে সুবিধা বঞ্চিত শিশু গণ্য বলে ক্ষেত্রমত, শিশু আইন ২০১৩ এর ৮৪ ধারা বা ৮৫ ধারা এর অধীনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অধিদপ্তরে বা এর নিকটস্থ কার্যালয়ে প্রেরণ করার ব্যবস্থা করবেন।
আবার, কোনো ব্যাক্তি শিশু আইন ২০১৩ এর উপ-ধারা (১) এর বিধান লঙ্ঘন করলে সেই ব্যাক্তি শিশু আইন ২০১৩ এর ৭৭ (২) ধারা মতে অপরাধ করেছে। এই অপরাধের জন্য সেই ব্যাক্তির দুই বছর কারাদণ্ড বা পঞ্চাশ হাজার টাকার অধিক অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড হইবে।
শিশুকে অসৎ পথে পরিচালনা করানোর শাস্তি
যদি কোনো ব্যাক্তি কোনো শিশুর প্রকৃত দায়িত্ব সম্পন্ন হয়ে বা তার তত্ত্বাবধানকারী হয়ে,শিশুকে অসৎ পথে পরিচালিত করলে বা যৌনবৃত্তিতে প্রবৃত্ত করলে বা এই কাজে উৎসাহ দিলে বা স্বামী ছাড়া অন্য কোনো ব্যাক্তির সাথে তার যৌন সঙ্গম করালে বা এই কাজে উৎসাহ প্রদান করলে, সেই ব্যাক্তি শিশু আইন ২০১৩ এর ৭৮ (১) ধারা মতে অপরাধ করেছে। এই অপরাধের জন্য সেই ব্যাক্তির পাঁচ বছরের অধিক কারাদণ্ড বা এক লক্ষ টাকার অধিক অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড হইবে।
শিশুকে দিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র বা নিষিদ্ধ বস্তু বহন বা সন্ত্রাসী কাজ করানোর শাস্তি
যদি কোনো ব্যাক্তি কোনো শিশুকে দিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র বা অবৈধ এবং নিষিদ্ধ বস্তু বহন করায় বা পরিবহন করায়, তাহলে সেই ব্যাক্তি শিশু আইন ২০১৩ এর ৭৯ (১) ধারা মতে অপরাধ করেছে। এই অপরাধের জন্য সেই ব্যাক্তির তিন বছরের অধিক কারাদণ্ড বা এক লক্ষ টাকার অধিক অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ড হইবে।
আবার, শিশু আইন ২০১৩ এর ৭৯ (২) ধারা অনুযায়ী কোনো ব্যাক্তি শিশুর প্রকৃত দায়িত্ব সম্পন্ন হোক বা তত্ত্বাবধানকারী হোক, বা অন্য কেউ হোক, কোনো শিশুকে সন্ত্রাস বিরোধী আইন ২০০৯ এর ৬ ধারায় উল্লেখ্য কোনো সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহার করলে সেই ব্যাক্তি সন্ত্রাসী কাজ সংঘটনের অপরাধ করেছেন বলে গণ্য হবে এবং এই অপরাধের জন্য সেই ব্যাক্তির শিশু আইন ২০১৩ এর ৭৯ (১) ধারায় উল্লেখ্য দণ্ড হইবে।
শিশুকে কাজে লাগানোর শাস্তি
শিশু আদালত থেকে শিশুর জিম্মাদার বা প্রতিপালনের দায়িত্ব নিয়েছে এমন কোনো ব্যাক্তি বা অন্য কোনো ব্যাক্তি যদি কোনো শিশুকে কোনো চাকরী বা বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর বিধান অনুযায়ী কোনো কারখানা বা অন্য প্রতিষ্ঠানে কাজে জন্য হস্তগত করে। কিন্তু কাজ করা অবস্থায় শিশুকে নিজের স্বার্থে শোষণ করে। জোরপূর্বক আটকে রেখে অথবা শিশুর উপার্জন ভোগ করে। তাহলে সেই ব্যাক্তি শিশু আইন ২০১৩ এর ৮০ (১) ধারা মতে অপরাধ করেছে। এই অপরাধের জন্য সেই ব্যাক্তির দুই বছরের অধিক কারাদণ্ড বা পঞ্চাশ হাজার টাকার অধিক অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ড হইবে।
আবার, শিশু আদালত থেকে শিশুর জিম্মাদার বা প্রতিপালনের দায়িত্ব নিয়েছে এমন কোনো ব্যাক্তি বা অন্য কোনো ব্যাক্তি যদি কোনো শিশুকে কোনো চাকরী বা বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর বিধান অনুযায়ী কোনো কারখানা বা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে কাজে নিয়োগের কথা বলে হস্তগত করে। কিন্তু এই কাজ করা অবস্থায় শিশুকে অসৎ পথে পরিচালিত করে বা যৌনকর্ম কাজে লিপ্ত করার মতো কাজ করে। তাহলে সেই ব্যাক্তি তাহলে সেই ব্যাক্তি শিশু আইন ২০১৩ এর ৮০ (২) ধারা মতে অপরাধ করেছে। এই অপরাধের জন্য সেই ব্যাক্তির পাঁচ বছরের অধিক কারাদণ্ড বা এক লক্ষ টাকার অধিক অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ড হইবে।
সরকার বা রাষ্ট্রপতি মৃত্যুদন্ড বা কারাদন্ড হ্রাস করতে পারবেন।
আবার,কোনো ব্যাক্তি তাহলে সেই ব্যাক্তি শিশু আইন ২০১৩ এর ৮০ ধারা (১) বা (২) এ উল্লেখ্য কাজে লাগানো শিশুর শ্রমের অর্থ ভোগ করলে বা নৈতিকতা বিরোধী বিনোদনের কাজে শিশুকে ব্যবহার করলে সেই ব্যাক্তি তাহলে সেই ব্যাক্তি শিশু আইন ২০১৩ এর ৮০ (৩) ধারা মতে দুষ্কর্মের সহায়তা করার জন্য দায়ী হইবে।
সংবাদ মাধ্যমে কোনো গোপন তথ্য প্রকাশের শাস্তি
শিশু আইন ২০১৩ এর ৮১ (১) ধারা অনুসারে বিচারাধীন কোনো মামলা বা বিচার কাজ সম্পর্কে প্রিন্ট মিডিয়া বা ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যম বা ইন্টারনেটের মাধ্যমে কোনো শিশুর স্বার্থের জন্য, যা দিয়ে শিশুকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে শনাক্ত করা যাবে । এমন কোনো প্রতিবেদন বা ছবি বা তথ্য প্রকাশ করা যাবে না।
আবার, কোনো ব্যাক্তি শিশু আইন ২০১৩ এর ৮০ (১) ধারার বিধান লঙ্ঘন করলে সেই ব্যাক্তির শিশু আইন ২০১৩ এর ৮০ (২) ধারা মতে অপরাধের জন্য এক বছরের অধিক কারাদণ্ড বা পঞ্চাশ হাজার টাকার অধিক অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড হইবে।
আবার, কোনো কোম্পানী বা সমিতি বা সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান শিশু আইন ২০১৩ এর ৮০ (১) ধারা এর বিধান লঙ্ঘন করলে শিশু আইন ২০১৩ এর ৮০ (৩) ধারা মতে সংশ্লিষ্ট কোম্পানী বা সমিতি বা সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন অনধিক দুই মাসের জন্য স্থগিত রাখা সহ সংশ্লিষ্ট কোম্পানী বা সমিতি বা সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান কে দুই লক্ষ টাকার অধিক জরিমানা করা হইবে।
শিশুকে পালাতে সাহায্য করার শাস্তি
কোনো ব্যাক্তি সজ্ঞানে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোনো প্রত্যয়িত প্রতিষ্ঠান বা নিরাপদ স্থান বা বিকল্প পদ্ধতিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যাক্তির তত্ত্বাবধান থেকে কোনো শিশুকে (ক) পালাতে সাহায্য করলে বা প্রলুব্ধ করলে অথবা (খ) পালানোর পর আশ্রয় দিলে বা লুকাইয়া রাখলে বা পুনরায় আগের স্থান বা ব্যাক্তির কাছে ফিরে আসতে বাধা প্রদান করলে বা বাধা প্রদানে সাহায্য করলে সেই ব্যাক্তি শিশু আইন ২০১৩ এর ৮০ (ক) (খ) ধারা মতে এক বছরের অধিক কারাদণ্ড বা পঞ্চাশ হাজার টাকার অধিক অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ড হইবে।
পড়ুনঃ মিথ্যা সাক্ষ্য দিলে করণীয় কী? – না জানলেই বিপদ, তাই জানুন আজই।
শিশু সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য প্রদানের জন্য ক্ষতিপূরণ ও শাস্তি
যদি কোনো ব্যাক্তি শিশু আইন ২০১৩ আইনে কোনো মামলায় কোনো আদালতে বা বিচার বিভাগে কোনো শিশু সম্পর্কে যদি মিথ্যা বা বিরক্তিকর বা তুচ্ছ প্রকৃতির কোনো তথ্য প্রকাশ করে। তাহলে মিথ্যা তথ্য প্রদানকারীর বিরুদ্ধে কেন ক্ষতিপূরণ প্রদান করার আদেশ প্রদান করা হবে না ততমর্মে কারণ দর্শানোর জন্য নোটিশ প্রদান করবেন এবং তথ্য প্রদানকারী কোনো কারণ প্রদর্শন করলে তাহা বিবেচনায় নিবেন। এরপর আদালত প্রয়োজনীয় তদন্ত সাপেক্ষে কারণ সমূহ লিপিবদ্ধ করবেন এবং যার বিপক্ষে তথ্য প্রদান করা হয়েছে। শিশু আইন ২০১৩ এর ৮৩ ধারা মতে আদালত তার অনুকূলে পঁচিশ হাজার টাকার ঊর্ধ্বে যে কোনো পরিমাণ অর্থ ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রদান করার জন্য মিথ্যা তথ্য প্রদানকারীর প্রতি আদেশ প্রদান করবেন এবং অনাদায়ে ছয় মাসের অধিক বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করতে পারবেন।